জাবির আইন অনুষদের দুই শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেয়া ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে চাকরি থেকে অব্যাহতি না নেয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন ও বিচার বিভাগের দুই শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অবাঞ্ছিত দুই শিক্ষক হলেন- আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পাল।
সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে তাদের অবাঞ্ছিতের ঘোষণা করা হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ঐ দুই শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করেছেন ও তাদেরকে দুষ্কৃতকারী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ক্লাসে ও পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মতো বিভিন্ন অপরাধ করেছেন। এমনকি পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ এনে মোবাইল ফোন নিয়ে তা ফেরত দেননি। কোনো শিক্ষার্থী টুপি, বোরকা পরলে কিংবা পর্দা করলে তাদের নানাভাবে হেনস্তা করেছেন। এছাড়া বিভাগে মাদরাসা থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ, পরিকল্পিতভাবে ফলাফল খারাপ করানো, নিজের পছন্দের শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল করানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া চত্বরে জড়ো হয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এসময় দুই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান বরাবর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। স্মারকলিপি জমা শেষে শহিদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরশাদুল হক বলেন, ‘তাপস কুমার দাস দুর্নীতির মাধ্যমে তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের ছোটভাই সুপ্রভাত পালকেও দুর্নীতি করে নিয়োগ দিয়েছেন।’
৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম চৌধুরি বলেন, ‘আন্দোলনে আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম ও পুলিশের কাছে আটক ছিলাম। আমার বাবা তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে কোনো সাহায্য করেননি। উলটো আমার বিরুদ্ধে সাভার থেকে লোকজন এনে হলে হামলা করার মিথ্যা অভিযোগ আনেন।’