চার দশক পর আইসিবিএম পরীক্ষা চীনের
দীর্ঘ সাড়ে চার দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, উৎক্ষেপণটি একটি রুটিন পরীক্ষা এবং বার্ষিক প্রশিক্ষণের অংশ।
যদিও পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি চীনের সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র DF-41, যা ২০১৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনের সময় প্রদর্শিত হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ কিলোমিটার (৭,৪০০-৯,৩২০ মাইল) পর্যন্ত হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অবহিত করা হয়েছিল। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের পথ বা আঘাতের নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। পরীক্ষার মাধ্যমে চীনের অস্ত্র এবং সরঞ্জামের কার্যকারিতা ও সেনাদের প্রশিক্ষণ মান যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়েছে এবং প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
পিএলএ রকেট ফোর্স, যা চীনের পারমাণবিক ও প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তত্ত্বাবধানে রয়েছে, পারমাণবিক শক্তি আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি এবং মজবুত মিত্র সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে চীন এই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র জানায় যে, চীন তার পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত বাড়াচ্ছে।