টেস্টের গতিপথ পাল্টানো মুহূর্তের কথা জানালেন ম্যাচসেরা লিটন
প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। ফলোঅনের শঙ্কা তখন সফরকারীদের ঘিরে ধরছিল। এমন সময় ক্রিকেট বিশ্ব দেখল রেকর্ড গড়া জুটি। সপ্তম উইকেটে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬৫ রান যোগ করে ম্যাচের মোড়টাই ঘুরিয়ে দেন।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস খেলেন ১৩৮ রানের মহামূল্যবান ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৭৮ রান করেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পাশাপাশি উইকেটের পেছনে ম্যাচে ৬ ডিসমিসাল করায় অবধারিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা লিটনের হাতেই উঠেছে। সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে কোনটি ছিল গতিপথ পাল্টানো মুহূর্ত, উইকেটরক্ষক ব্যাটার সেটিই জানালেন। কনুইয়ের আঘাতে তার পক্ষে ব্যাট করা সহজ ছিল না বলেও জানান।
‘শুধু নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। পাকিস্তান সেই স্পেলে ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু আমি আর মিরাজ শুধু লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। সে একটি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছিল। তারপরে খেলার গতি পরিবর্তন হয়।’
আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাবে টাইগাররা ২৬২ রানে থেমেছিল। হাসান মাহমুদের সঙ্গে নবম উইকেটে ৬৯ রানের কার্যকরী জুটির গুরুত্বের কথাও লিটন স্বীকার করেন।
‘হাসান যখন ক্রিজে এসেছিল, আমার কাছে বেশি রান করার সুযোগ ছিল না। তাই আমি সময় নিয়েছিলাম এবং যতটা সম্ভব বেশি ওভার খেলতে চেয়েছিলাম। ভালো ব্যাটিং করার কৃতিত্ব হাসানকেও দিতে হবে। আমি টেস্টে কিপিং করতে পছন্দ করি। এটাই আমার ভূমিকা এবং যখন আমি উইকেটের পেছনে ভালো করি, দলও ভালো করে।’
পাকিস্তান সফরের আগে বিদেশের মাটিতে প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করবে, বাস্তবতার নিরিখে সেটি ছিল অকল্পনীয়। দলের পারফরম্যান্সও ঠিকঠাক ছিল না। লিটনের কথাতেও সেটি উঠে আসে।
‘আমরা যখন এখানে এসেছিলাম, কোনোকিছুই ঠিকঠাক ছিল না। কিন্তু আমরা এখানে এসে কঠোর অনুশীলন করেছি। এটা আসলে দলীয় প্রচেষ্টার ফল। কৃতিত্বটা কোচিং স্টাফসহ সবাইকে দিতে হবে। এই ধরনের গরম আবহাওয়ায় খেলা সহজ নয়।’