ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধে ভোট দিল বাংলাদেশ

ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধে ভোট দিল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কর্তৃক রায়ের সমর্থনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশনে এক‌টি গুরুত্বপূর্ণ রেজ্যুলেশন গৃহীত হ‌য়ে‌ছে। এর পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান ১০ম বিশেষ জরুরি অধিবেশনে রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হয়। ‌নিউইয়র্কের বাংলা‌দেশ স্থায়ী মিশন জানায়, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক গত ১৯ জুলাই পরামর্শমূলক মতামতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান ১০ম বিশেষ জরুরি অধিবেশনে এক‌টি গুরুত্বপূর্ণ রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃক উপস্থাপিত রেজ্যুলেশনটি বাংলাদেশসহ ৫৩টি দেশ কো-স্পন্সর করে। রেজ্যুলেশনটি ভোটের জন্য উপস্থাপিত হলে ১২৪টি দেশ এটির পক্ষে ও ১৪টি দেশ বিপক্ষে ভোট প্রদান করে এবং ৪৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। কো-স্পন্সর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ রেজ্যুলেশনটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। স্থায়ী মিশন জানায়, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সাম্প্রতিক পরামর্শমূলক মতামতের আলোকে রেজ্যুলেশনটিতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে তার বেআইনি উপস্থিতি বন্ধ করা এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটিতে জানানো বিভিন্ন আহ্বানের মধ্যে রয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অন্যায় কাজের কারণে যে সকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে একটি আন্তর্জাতিক মেকানিজম প্রতিষ্ঠার আহ্বান। এ ছাড়া এই রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নের উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়।বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ক চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের আলোকে ইসরায়েল দ্বারা সংঘটিত নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয় রেজ্যুলেশনটিতে। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় রেজ্যুলেশনটির মাধ্যমে। বস্তুত, দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে রেজ্যুলেশনটি। রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বর্ণনা করে এটিকে স্বাগত জানান এবং সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এটি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত রেজ্যুলেশন ২৭২৮-এর আলোকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। এ ছাড়া জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার মত অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি গাজায় গুরুতর মানবিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনারের প্রদত্ত বিবৃতির প্রশংসা করেন।

৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জার্মানির

৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জার্মানির

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন দেশটি। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার তার দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি এক বিলিয়ন ইউরোর সাহায্যে দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদারদের একটিতে পরিণত হয়েছে। জার্মানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। এটি একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যারা এই প্রকল্প সহায়তা পেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জার্মান নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে বলেছেন, তিনি প্রায়শই বার্লিন প্রাচীর পতনের বার্ষিকীতে যোগ দিতেন। অধ্যাপক ইউনুস বাংলাদেশে আরও জার্মান বিনিয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দক্ষতা ও প্রযুক্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, দেশের জন্য নতুন যুগের সূচনাকারী ছাত্র ও তরুণদের পেছনে জাতি ঐক্যবদ্ধ। এখন আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের তাদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগে যে কোনো বাধা দূর করতে আগ্রহী। তিনি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিবর্তনের জন্য আরও ব্যক্তিগত জার্মান তহবিল চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংস্কার সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, জার্মান ও বাংলাদেশের ফার্ম মিলে গ্রিন করিডর তৈরি করতে পারে। এসময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জ্যান জানোস্কি উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি

জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি

জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) ১১ ধাপ এবং ই-পার্টিসিপেশন সূচকে ৫ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের পর এবার সর্বোচ্চ ইজিডিআই ভ্যালু (০.৬৫৭০) অর্জন করেছে। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এই ইনডেক্স প্রকাশ করা হয়। ইজিডিআই-২০২৪ অনুযায়ী, ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১০০তম। ২০২২ সালে ছিল ১১১তম এবং ২০২০ সালের প্রতিবেদনে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৯তম। অন্যদিকে, ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৭০তম। ২০২২ সালে ছিল ৭৫তম অবস্থানে। এ বছর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। সব সদস্য রাষ্ট্রের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট মূল্যায়নে বিভিন্ন প্রকাশনা এবং অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ইজিডিআই তৈরি করা হয়। ইনডেক্স তৈরিতে দেশগুলোর অনলাইনে সেবা প্রদান, আইন ও পলিসি কাঠামো, ই-পার্টিসিপেশনের অবস্থার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং হিউম্যান ক্যাপিটালকে মূল্যায়ন করা হয়। ইজিডিআই-২০২৪ এ শীর্ষ তিনে রয়েছে যথাক্রমে ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া ও সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত রয়েছে ৯৭তম স্থানে আর মিয়ানমারের অবস্থান ১৩৮। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ ৯৪, শ্রীলংকা ৯৮, ভুটান ১০৩ আর নেপাল ১১৯তম স্থানে রয়েছে।

মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবে

মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবে

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে। পাশাপাশি জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর জন্য চেষ্টা করতে হবে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি একথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণ প্রজন্মের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর পাশাপাশি সকল মোবাইল অপারেটরদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবে। এসময় ভেওন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান টার্জিওগ্লু বাংলাদেশে সিম কার্ডের ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব দেন। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ট্যাক্সের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় জড়িত তাই এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। পরে বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার জাহারাত আদিব চৌধুরী ‘টফি’ এপ্লিকেশন এর ব্যবহারে বিভিন্ন বাধার কথা উল্লেখ করলে উপদেষ্টা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। এসময় বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক এস, প্রধান কর্পোরেট ও নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তাইমুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘পাঙ্গাশ-তেলাপিয়ায় ব্যবহার হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক’

‘পাঙ্গাশ-তেলাপিয়ায় ব্যবহার হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক’

কিছুটা সহজলভ্য হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষের কাছে পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ চাহিদার শীর্ষে। কিন্তু এসব মাছে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে। যা মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমিন রুমি আলিম। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ড. শারমিন রুমি আলিম বলেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষের তথা নিম্নআয়ের মানুষের অন্যতম পছন্দের খাবার পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছ। এখন এই মাছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাত্রা এত বেশি যে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এক রোগের ওষুধ খেলে অন্যান্য রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। এ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে।’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএফএসএর চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘দেশে ৭০ ভাগ মানুষের মৃত্যু হয় অসংক্রামক রোগে। আর ডায়রিয়ার কারণে মৃত্যু রয়েছে ৪ নম্বরে। এগুলো আমাদের খাদ্যভাসের ওপর নির্ভর করে। এজন্য আমাদের গবেষণার মাত্রা বাড়াতে হবে। আমাদের গবেষকদের গবেষণা করার জন্য এক বছর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময় বাড়ানো দরকার।’ বিএফএসএর সাবেক পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে বাজারে ১৩টি কোম্পানির দুধের মধ্যে ১১টিতে হেভি মেটাল পাওয়া গিয়েছিল। যার মামলা এখনো চলছে। আবার স্বনামধন্য কম্পানির হলুদের মধ্যে ক্ষতিকর লেড পাওয়া গিয়েছিল। আমেরিকায় পাঠানোর পর তারা জানিয়েছিল। এগুলো নিয়ে বিএফএসএ কাজ করার ফলে আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। স্ট্রিট ফুডগুলোতে নানা ধরনের রং ব্যবহার করে খাবারকে আকর্ষণ করে তোলা হয়। এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এখন ১০টি গবেষণায় অর্থায়ন করা হচ্ছে। আশাকরি দেশের নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থায় তৈরিতে বড় অবদান রাখবে।’ পথিকৃৎ ইনস্টিটিউট অব হেলথ স্টাডিজের চিফ রিচার্স অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুডের দোকান বেশি। শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ ফাস্ট ফুড খায়। তারমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের খাবার বেশি খায়। এসব তৈলাক্ত খাবারে জিহ্বায় আলাদা স্বাদ জমে। তাতে করে এসব খাবারের প্রতি তারা বেশি আকর্ষিত হয়। তখন অন্য খাবার ভালো লাগে না। কিন্তু এতে তারা মোটা হয়ে যাচ্ছে। শারীরিক গঠন সঠিকভাবে হচ্ছে না।’ অনুষ্ঠানে গবেষণার সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, নোয়াখালী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু বিন হাসান সুসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিচার্স সায়েন্সের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট ড. এস কে আরিফুল হক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিমান মাহমুদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক ড. মাহফুজা মোবারক

মেট্রোরেল শুক্রবার যে সময়ে চলবে

মেট্রোরেল শুক্রবার যে সময়ে চলবে

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারও মেট্রোর সেবা পাবেন রাজধানীবাসী। ফলে সপ্তাহের সাতদিনই দ্রুতগতির এ গণপরিবহনে চড়তে পারবেন যাত্রীরা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, ডিএমটিসিএল এর আওতায় পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর মেট্রো ট্রেন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবার উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত হেডওয়েতে চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে ৪৩০ নম্বর পিলারের ওপর ভায়াডাক্টের একটি বিয়ারিং প্যাড সরে যাওয়ার ঘটনায় বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে আগারগাঁও-মতিঝিল-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। কারিগরি ত্রুটি সমাধানের পর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। জানা যায়, ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে ৪৩০ নম্বর পিলারের ওপর ভায়াডাক্টের একটি বিয়ারিং প্যাড সরে যায়, যার ফলে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যাত্রীদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ভারতে আবারও বড় ট্রেন দুর্ঘটনা, গভীর রাতে লাইনচ্যুত ২০টি ওয়াগন

ভারতে আবারও বড় ট্রেন দুর্ঘটনা, গভীর রাতে লাইনচ্যুত ২০টি ওয়াগন

ভারতে ঘটছে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা। এবার লাইনচ্যুত হয়েছে পণ্যবাহী ট্রেন। দুর্ঘটনায় রেললাইন থেকে ছিটকে গেছে ট্রেনটির ২০টি ওয়াগন। দেশটির উত্তর প্রদেশের মথুরায় লাইনচ্যুত হয় পণ্যবাহী ওই ট্রেনটি। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এদিকে সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন হলে বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় রেল কর্মকর্তারা। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রেনের ওয়াগন লাইন থেকে ছিটকে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে তিনটি আপ-ডাউন ট্রাক। এর জেরে বহু ট্রেন বিলম্বে চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে আগ্রা থেকে দিল্লিগামী রুটে পণ্যবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি ঝাঁসি থেকে সুন্দরগড় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মথুরার বৃন্দাবন রোডের কাছে আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটি। এতে কমপক্ষে ২০টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। অবশ্য দুর্ঘটনার জেরে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে ট্রেনটিতে কয়লা থাকায় তা ট্র্যাকের ওপরে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ট্রেনের কামরার ধাক্কায় বেশ কয়েকটি পিলারও ভেঙে গেছে। এর জেরে আপ-ডাউন ট্র্যাকে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। আগ্রা, দিল্লি এবং গোয়ালিয়রগামী কমপক্ষে ১৫টি ট্রেন বিলম্বে চলছে। চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন যাত্রীরা। এর আগে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল কর্মকর্তারা। পরে রাত থেকেই লাইন মেরামতের কাজ শুরু করা হয়।

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ১২:০০ ভোর
যোহর ১২:০০ দুপুর
আছর ১২:০০ বিকেল
মাগরিব ১২:০০ সন্ধ্যা
এশা ১২:০০ রাত

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দৈনিক আমাদের সংবাদের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে
ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধে ভোট দিল বাংলাদেশ

ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধে ভোট দিল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) কর্তৃক রায়ের সমর্থনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশনে এক‌টি গুরুত্বপূর্ণ রেজ্যুলেশন গৃহীত হ‌য়ে‌ছে। এর পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান ১০ম বিশেষ জরুরি অধিবেশনে রেজ্যুলেশনটি গৃহীত হয়। ‌নিউইয়র্কের বাংলা‌দেশ স্থায়ী মিশন জানায়, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক গত ১৯ জুলাই পরামর্শমূলক মতামতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান ১০ম বিশেষ জরুরি অধিবেশনে এক‌টি গুরুত্বপূর্ণ রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃক উপস্থাপিত রেজ্যুলেশনটি বাংলাদেশসহ ৫৩টি দেশ কো-স্পন্সর করে। রেজ্যুলেশনটি ভোটের জন্য উপস্থাপিত হলে ১২৪টি দেশ এটির পক্ষে ও ১৪টি দেশ বিপক্ষে ভোট প্রদান করে এবং ৪৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। কো-স্পন্সর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ রেজ্যুলেশনটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। স্থায়ী মিশন জানায়, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সাম্প্রতিক পরামর্শমূলক মতামতের আলোকে রেজ্যুলেশনটিতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে তার বেআইনি উপস্থিতি বন্ধ করা এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটিতে জানানো বিভিন্ন আহ্বানের মধ্যে রয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অন্যায় কাজের কারণে যে সকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে একটি আন্তর্জাতিক মেকানিজম প্রতিষ্ঠার আহ্বান। এ ছাড়া এই রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নের উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়।বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ক চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের আলোকে ইসরায়েল দ্বারা সংঘটিত নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয় রেজ্যুলেশনটিতে। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় রেজ্যুলেশনটির মাধ্যমে। বস্তুত, দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে রেজ্যুলেশনটি। রেজ্যুলেশনটি উপস্থাপন উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বর্ণনা করে এটিকে স্বাগত জানান এবং সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এটি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত রেজ্যুলেশন ২৭২৮-এর আলোকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। এ ছাড়া জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার মত অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি গাজায় গুরুতর মানবিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনারের প্রদত্ত বিবৃতির প্রশংসা করেন।

৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জার্মানির

৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জার্মানির

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন দেশটি। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার তার দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি এক বিলিয়ন ইউরোর সাহায্যে দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদারদের একটিতে পরিণত হয়েছে। জার্মানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। এটি একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যারা এই প্রকল্প সহায়তা পেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জার্মান নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে বলেছেন, তিনি প্রায়শই বার্লিন প্রাচীর পতনের বার্ষিকীতে যোগ দিতেন। অধ্যাপক ইউনুস বাংলাদেশে আরও জার্মান বিনিয়োগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দক্ষতা ও প্রযুক্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, দেশের জন্য নতুন যুগের সূচনাকারী ছাত্র ও তরুণদের পেছনে জাতি ঐক্যবদ্ধ। এখন আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের তাদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগে যে কোনো বাধা দূর করতে আগ্রহী। তিনি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিবর্তনের জন্য আরও ব্যক্তিগত জার্মান তহবিল চেয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংস্কার সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, জার্মান ও বাংলাদেশের ফার্ম মিলে গ্রিন করিডর তৈরি করতে পারে। এসময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জ্যান জানোস্কি উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক আমাদের সংবাদের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে
বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!

বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!

* প্রতিহিংসার রাজনীতি চায় না বিএনপি * অপকর্মের প্রমাণ পেলেই বহিষ্কার * শৃঙ্খলা ভাঙলেই চলে যাচ্ছে পদ-পদবি * ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ২১৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে * কেন্দ্রীয় নেতারাও বিপাকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে বাঁধাহীন কর্মসূচি পালন করছে দলটি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকেই বিএনপির ওপরে নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গেলে বেগ পেতে হতো। পুলিশি বাঁধায় পণ্ড হয়ে যেত কর্মসূচি। হামলা-মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াতেন দলটির নেতাকর্মীরা। গুম-খুন ও নিপীড়নের আতংকে থাকত দলটি। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর হামলা-মামলা, গুম-খুন ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা। দীর্ঘ সাড়ে ১৬ বছর পর যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। রাজপথ থেকে তৃণমূল সবর্ত্র চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে, ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও বহিষ্কার আতঙ্ক বিরাজ করছে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে। শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই চলে যাচ্ছে দলীয় পদপদবি। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে সরে আসতে বলা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিহিংসার রাজনীতি এড়িয়ে চলছে নেতাকর্মীদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। তবুও বিভিন্ন স্থানে অতিউৎসাহী নেতাকর্মীরা প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিপক্ষের পাশাপশি নিজ দলের নেতাকর্মীদে সঙ্গে দ্বন্দ্ব-কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছেন। এতেই চলে যাচ্ছে দলীয় পদপদবি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলে নেয়ার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অভিযোগ ওঠে বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। তবে এসব কর্মকাণ্ড থেকে নেতাকর্মীদের বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে সহিংসতা কিংবা জমি-প্রতিষ্ঠান দখলের তথ্য-প্রমাণ পেলেই দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। ছাড় পাচ্ছেন না কেউই। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আইনবহির্ভূত কোনো কাজে কেউ জড়ালে বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না। পদ-পদবিতো হারাবেনই, একইসঙ্গে তুলে দেওয়া হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। গত ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে এক সমাবেশে ভিডিও বার্তায় দলটির চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিহিংসায় লিপ্ত হবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো অপকর্ম করতে চাইলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হোক। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পতনে আপাতত স্বস্তি ফিরেছে। প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতির পক্ষে নয় বিএনপি। শুধু মুখে মুখে নয়, বাস্তব অর্থেই বিএনপি এটা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে নেতাকর্মীদের সর্তক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপি অ্যাকশনে গেছে বলেও জানান তারা। সূত্রমতে, দিনদিন দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপির বহিষ্কারের তালিকা। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল এবং দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারাও বহিষ্কার আতংকে রয়েছেন। অনেকের পদ স্থগিত করা হচ্ছে। পদপদবির বিবেচনায় কাউকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ আসছে তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে কিংবা তার পদ স্থগিত করা হচ্ছে। পুকুর ভরাটের অভিযোগে গত ১১ আগস্ট বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিছ জাহান শিরিনের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়। গত ১৫ আগস্ট উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। গত ২১ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সদস্য পদ স্থগিত করে বিএনপি। এছাড়াও বিএনপির বিভিন্নক জেলা-উপজেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক আলোচনা সভায় বলেন, বড় কিছু অর্জন করতে হলে ছোট কিছু হারাতে হয় এবং হারানোর সেই উদাহরণ আমরা ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে সৃষ্টি করেছি। আমরা আমাদের দলের একজন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ স্থগিত করেছি। দলের চেয়ারপার্সনের একজন উপদেষ্টাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই ধরনের বার্তা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২১৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বিএনপি দেশের একটি উদার ও বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দলটি কখনোই দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রশ্রয় দেয় না। গত ১৫-১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ নিপীড়ন ভোগ করেছেন। বিএনপির নাম ব্যবহার করে যারা অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেউ দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি কাজ করলে তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এর আগেও অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এখনো হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেয়া হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকও এমন কথা জানিয়েছেন। তিনি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তারা নব্য বিএনপি। অপরাধীরা বিএনপিতে জায়গা পাবে না। তাদের বিষয়ে দল কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দৈনিক আমাদের সংবাদের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে
দৈনিক আমাদের সংবাদের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে
দৈনিক আমাদের সংবাদের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে
যেদিন থেকে নিয়মিত চলবে মেট্রোরেল

যেদিন থেকে নিয়মিত চলবে মেট্রোরেল

নিয়মিত শিডিউলে আগামী রোববার (২৫ আগস্ট) থেকে চলবে মেট্রোরেল। এদিকে মেট্রোরেল বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এতে লাইনে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। কিছু কারিগরি ইস্যু নিয়ে কাজ করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) মো. জাকারিয়া। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঐদিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির কথা বলা হলেও, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটিরও কম বলা হচ্ছে। আগামী রোববার থেকে মেট্রোরেল চালু হলেও মেরামত ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা থাকায় আপাতত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচার দাবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচার দাবি

পিলখানায় পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন বিডিআর অফিসারসহ মোট ৭৪ জনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিডিআর নায়েক (অব:) সালাউদ্দিন গাজী। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ইতিহাসের ন্যাকারজনক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের অবিলম্বে বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিরপরাধ। সুতরাং আমরা আমাদের চাকরি ফেরত চাই। বিডিআরকে পূর্বের নাম, পোশাক এবং পূর্বের প্রেরণায় নিয়ে যেতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও অসুস্থদের জন্য দোয়া করা হয়। নায়েক (অব:) সালাউদ্দিন গাজীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিডিআর সদস্য শফিকুর ইসলাম জামাল, মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, বিডিআর পরিবারের সন্তান তারেক আজিজসহ প্রমুখ।

দৈনিক আমাদের সংবাদের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে
মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে অপু বিশ্বাসের আবেগঘন পোস্ট

মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে অপু বিশ্বাসের আবেগঘন পোস্ট

‘মা’ শুধু একটি শব্দ নয়, একটি অনুভূতি, একটি ভালোবাসা, একটি আশ্রয়। চার বছর আগে এই আশ্রয়কে হারান জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তবে আজও মা শেফালি বিশ্বাসকে প্রতিটি নিঃশ্বাসে অনুভব করেন তিনি। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটাই জানালেন এ নায়িকা। অপু বিশ্বাস লিখেছেন, চার বছর পেরিয়ে গেল, মা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু মায়ের উপস্থিতি আমি প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি নিঃশ্বাসে আজও অনুভব করি। জীবনের প্রতিটি বাঁকে মা আমার পাশে থাকতেন, তার শিক্ষায় আমরা বড় হয়েছি। আজ তিনি শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ, তার মূল্যবোধ, এবং তার শেখানো কথাগুলো আমার জীবনের প্রতিটি কাজে পথপ্রদর্শক হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি আরো লিখেছেন, মায়ের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তিনি যেখানে আছেন, সেখান থেকেই আমাদের দিকে চেয়ে আছেন, আমাদের মঙ্গল কামনা করছেন। মা, তোমাকে খুব মিস করি। তোমার শূন্যতা কখনো পূরণ হবে না। কিন্তু তোমার স্মৃতি আমাকে সাহস দেয়, এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়। তুমি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অপু বিশ্বাসের মা শেফালি বিশ্বাস। এর কয়েক দিন আগে তিনি স্ট্রোক করেন।

তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর ছবি, নীরবতা ভাঙলেন ওমর সানী

তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর ছবি, নীরবতা ভাঙলেন ওমর সানী

কয়েক বছর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে নায়িকা মৌসুমীর তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেসময় ছবিটি নিয়ে দারুণ সমালোচনা হয়। কিন্তু তারকা দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ছবিটি মৌসুমীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে এই ছবির কারণে মৌসুমীকে একাধিকবার রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে দাবি ওমর সানীর। হাসিনা সরকারের পতনের পর ঘটনাটি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মৌসুমীর বর। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এফডিসির প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতিতে নবগঠিত সেন্সর বোর্ডের সংস্কারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে ওমর সানী বলেন, ‘ওই ছবিতে এক পাশে ববিতা আপা ছিলেন, এক পাশে মান্না ভাইও ছিলেন। সেখানে তারেক সাহেব ও তার স্ত্রী কবুতর উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। মৌসুমীও সেখানে ছিলেন।’ ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন তার ব্যবসার ক্ষতি করতে মেতে উঠে। তা জানিয়ে ওমর সানী বলেন, ‘বেনজীর তখন র‍্যাবের প্রধান ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে দেখা হলে একদিন তিনি বলেছিলেন, তাদের কাছে নির্দেশ আছে, ছবিটি নাকি বিতর্কিত। আমরা বাজে অবস্থার মধ্যে পড়ে যাব। তখন আমি আমার পরিবার নিয়ে ভীত হয়ে পড়ি। তারপর থেকে আমার পরিবার ও ব্যবসার ওপর অস্বাভাবিকভাবে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) ক্ষতি করতে মেতে ওঠে। শুধু আমি একা নই, আমার কাছের মানুষগুলোও জানে কতটা ব্যথিত হয়েছিলাম।’ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে শিল্পীদের ছবি থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ওমর সানী বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলতে চাই, রাষ্ট্র যেখানে অবস্থান করবে, প্রজারা সেখানে অবস্থান করতে বাধ্য। শিল্পীদের সঙ্গে যে কারো ছবি থাকতে পারে। একজন চোরের সঙ্গে বা ব্রোথেল গার্লের সঙ্গেও ছবি থাকতে পারে। তবে হ্যাঁ, এটা সত্য মৌসুমী নমিনেশন (সংরক্ষিত মহিলা আসন, ২০১৮ সালের নির্বাচন) চেয়েছিল। কেন চেয়েছিল সেটা জাহির করতে আসিনি। এটা ওপর ওয়ালা ভালো জানেন। মৌসুমী রাজনীতিতে জড়াবে না বলেই একটা সময় আমেরিকা চলে যায়। এখনো সেখানেই রয়েছে।’ এফডিসির শিল্পী সমিতির গুটি কয়েক নেতাকে ‘কুলাঙ্গার’ উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, ‘সেই কুলাঙ্গারদের কারণে প্রথমবার নির্বাচন করতে এসে দেখি তারা শাকিবের সঙ্গে কী করেছিল। শাকিব মামলা করেছিল। এই কুলাঙ্গারদের কারণে শাকিব সেই মামলা আগাতে পারে নাই। যারা এসবে প্রভাব খাটিয়েছিল, অনেকে কারাবন্দি। মৌসুমী যখন সমিতির নির্বাচন করে, তারা অনেকে এখন আছে, যারা পেছন থেকে তার ক্ষতি করেছিল।’ বরেণ্য অভিনয়শিল্পীদের একুশে পদক দেওয়ার দাবি জানিয়ে ওমর সানী বলেন, ‘শবনম ম্যাডাম, শাবানা ম্যাডাম, ববিতা ম্যাডামদের মতো লিজেন্ড যারা আছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না। তারা এক জীবনের পুরোটা এই অঙ্গনে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের উচিত তাদের একুশে পদক পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো।’

নবজাতককে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন দীপিকা

নবজাতককে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন দীপিকা

মা হওয়ার পর প্রথম প্রকাশ্যে এলেন দীপিকা। তাই দেখে অনুরাগীদের আনন্দ যেন ধরছে না। প্রায় সাতদিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন রণদীপ দম্পতি। নবজাতককে নিয়ে ফেরার সময় ধরা পড়েছেন ক্যামেরায়। এদিন হাসপাতালে দীপিকাকে নিতে যান রণবীর সিং। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতার বাবা। শোনা গেছে, দীপিকা ও সদ্যোজাত কন্যার জন্য গ্র্যান্ড ওয়েলকাম প্ল্যান করে রেখেছেন রণবীর। হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই গাড়িতে উঠে পড়েন অভিনেত্রী। পেছনের সিটে তার সঙ্গে বসেছিলেন রণবীর। সদ্যোজাত সন্তানকে সাদা কাপড়ে মুড়ে রাখেন তারকা দম্পতি। চোখেমুখে আনন্দের ছাপ স্পষ্ট। রণবীর-দীপিকা দুজনের চোখেই ছিল চশমা। তবে অভিনেত্রীর গাল পুরো লাল। যেন ব্লাশ করছেন। দীপিকার এই ‘পোস্ট প্রেগন্যান্সি গ্লো’ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। এদিকে মা হওয়ার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে আসতেই দীপিকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ নেটিজেনরা। তাদের মন্তব্য, মা হওয়ার পর দীপিকার রূপ যেন আরো বেড়েছে।

দৈনিক আমাদের সংবাদের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে
ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ স্কোয়াশ দলের সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ স্কোয়াশ দলের সঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো কোনো একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ স্কোয়াশ দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে সাফল্যের মুখ দেখেছে স্কোয়াশ দল। নেপালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় এনএসআরএ ইন্টার ক্লাব আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দল হয়েছে রানার্সআপ। রানার্সআপ ট্রফি বিজয়ী পুরুষ ও নারী দলের সঙ্গে বুধবার মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় তিনি খেলোয়াড়দের আরো ভালো খেলার জন্য উৎসাহিত করেন। সীমিত সম্পদের মাঝে হাজারো বাধা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও গত চার বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্লান্ত পরিশ্রমের সুফল পেল স্কোয়াশ ফেডারেশন। গত ১১-১৪ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে পুরুষ বিভাগে ১৪টি দলের মধ্যে সেনাবাহিনীর শাহাদাৎ আপন ও কামরুলকে নিয়ে গঠিত দল রৌপ্য পদক এবং বিকেএসপির আমীরুল ও সাইমুনের সঙ্গে ভাষানটেক কলেজের সৌকতকে নিয়ে গঠিত তরুণ (দ্বিতীয়) দল রৌপ্যপদক লাভ করেছে। উত্তরা স্কুলের চাঁদনী, নির্ঝর স্কুলের নাবিলা ও আইইউবি`র মারজানকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্কোয়াশ দল ৬টি দলের মধ্যে রৌপ্যপদক জিতে ইতিহাসের অংশ হয়েছে। স্কোয়াশ খেলার জন্য ফেডারেশনের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। দেশের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের স্কোয়াশ কোর্টগুলো বেদখল আছে। সীমাবদ্ধতার মাঝেই ফেডারেশনের দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় ধরে চালিয়ে যাওয়া প্রচেষ্টায় গড়া স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের আগামী এসএ গেমস ও এশিয়ান গেমসের আগে নেপালে বসতে যাওয়া আসরটি হবে একটা পরীক্ষা।

অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে লিভিংস্টোন

অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে লিভিংস্টোন

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি থেকে দারুণ পারফরম্যান্সের ফল হাতেনাতে পেলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। টি-২০র অলরাউন্ডারদের র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। আইসিসির সবশেষে হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিংয়ে দেখা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটে-বলে বাজিমাত করাতেই র‍্যাংকিংয়ে সবার উপরে উঠেছেন ৩১ বর্ষী এই ক্রিকেটার। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে ২২ রানে ৩ উইকেট পাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে করেন ২৭ বলে ৩৭ রান। দ্বিতীয়টিতে ব্যাট হাতে ৪৭ বলে ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। বোলিংয়ে ১৬ রান খরচায় পান ২ উইকেট। এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সের প্রেক্ষিতে ৭ ধাপ উপরে উঠে লিভিংস্টোন ২৫৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছেন। আর তাতে এক ধাপ করে নিচে নেমে দুইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস ও তিনে রয়েছেন সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এক ধাপ নিচে নেমে ২০৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। ব্যাটারদের র‍্যাংকিংয়েও বড় লাফ দিয়েছেন লিভিংস্টোন। ১৭ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৫৬০ রেটিং নিয়ে ৩৩ নম্বরে উঠেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ব্যাটার জশ ইংলিস ১৩ ধাপ লাফিয়ে ১০ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৩১ ও ৫৯ রানের ইনিংস খেলে ৮৮১ রেটিং নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। বোলারদের র‍্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে ৬৬২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে উঠেছেন অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। ৭২১ রেটিং নিয়ে শীর্ষেই আছেন ইংল্যান্ডের আদিল রাশিদ।