ঢাকা   শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ধনকুবেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় পাল্টাল ইরান

প্রকাশিত: ০১:৪৬, ২ মে ২০২৪

ধনকুবেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় পাল্টাল ইরান

ধনকুবেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় পাল্টাল ইরান

বিশাল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ইরানি ধনকুবের বাবাক জানজানির সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে আগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এখন সাজা লঘু করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর এ ঘোষণা দিয়েছেন। ইরানের বিচার বিভাগ পরিচালিত বার্তা সংস্থা মিজানে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানজানি ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন বলে ইরানের বিচার বিভাগের ঘোষণার পর খবরটি প্রকাশ হয়েছে। তার বিদেশে থাকা সম্পদগুলো ইরানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ।

এর আগে জানজানি বলেছিলেন, তার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ওই নগদ অর্থ তিনি হস্তান্তর করতে পারেননি।

জানা গেছে, ২৭০ কোটি ডলার পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাতের কারণে জানজানিকে ২০১৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। ইরানের তেল মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগটি করা হয়। ২০১৬ সালে জানজানিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাহমুদ আহমাদিনেজাদের শাসনামলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গুঞ্জনে বিশ্বে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় পশ্চিমা জোট একত্রিত হয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ওই সময় ইরান সরকারের দোসর হিসেবে জানজানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও। তাই বিভিন্ন দেশের কাছে গোপনে তাকে তেল বিক্রি করতে হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন জানজানি।

আসগর জাহাঙ্গীর বলেন, তেহরানের বিচার বিভাগের প্রধান অনুরোধ করায় রায় পাল্টানোর সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইরানের বিচার বিভাগ ঘোষণা করেছিল, জানজানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। বিদেশে থাকা তার সম্পদগুলো শনাক্ত হয়েছে এবং তা ইরানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পর থেকেই তিনি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে।

ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিদেশে এ ধনকুবেরের যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তা দিয়ে তার দেনা ও ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা সম্ভব।

ইরানের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যক্তিদের একজন বাবাক জানজানি। তিনি ৬০টির বেশি কোম্পানি পরিচালনা করেন। এসব কোম্পানি প্রসাধনসামগ্রী থেকে শুরু করে তেলসহ বিভিন্ন জিনিস উৎপাদন করে। আছে ব্যাংকও।

একপর্যায়ে বাবাক জানজানি প্রায় ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, যা ইরানের মতো কোনো দেশের ব্যবসায়ীর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ। কারণ, দেশটিতে অর্থনীতির বেশির ভাগটাই সরকারের নিয়ন্ত্রণে।

সূত্র: বিবিসি

শিরোনাম

শেখ হাসিনা ফের প্রধানমন্ত্রী হলে শিক্ষকদের সব দাবি পূরণ হবে
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্তমান সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে
কানাডায় পোশাক রপ্তানিতে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে
চাহিদাভিত্তিক শ্রমশক্তি গড়তে ৩০ কোটি ডলার দেবে এডিবি
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন:শেখ হাসিনা
বুধবার বাংলাদেশি টাকায় মুদ্রা বিনিময় হার
পদোন্নতি পেলেন স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন
ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সরকার টিসিবির জন্য ১২১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার তেল ও ডাল কিনবে
সর্বজনীন পেনশন নিয়ে অপপ্রচার রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
জামানত বেড়েছে সংরক্ষিত নারী আসনে